“ডেঙ্গুজ্বর না হলে হয়ত এখন আমি আমার বাচ্চাকে কোলে নিয়ে আদর করতাম, স্ত্রীকে নিয়ে সুন্দর সময় কাটাতাম। অথচ ডেঙ্গু সবকিছু তছনছ করে দিল।”
দুঃসহ এক অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন রাজধানীর উইলস্ লিটল ফ্লাওয়ার্স স্কুলের মনিটরিং অফিসার মোসলেহ উদ্দিন তরুণ।
এইডিস মশবাহিত এই রোগে মাসখানেক আগে তিনি নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও অনাগত সন্তানকে হারিয়েছেন।
গত ১৪ জুন হঠাৎ জ্বর আসে তরুণের স্ত্রী ফাতেমা বেগমের, ১৬ জুন রিপোর্টে ধরা পড়ে ডেঙ্গু; ততক্ষণে রক্তে প্লেইটলেটস নেমে আসে ১৮ হাজারে।
এরপর আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। প্লেইটলেটস দেওয়ার পরও অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে নেওয়া হয়। ২০ জুন পেটেই তার সন্তান মারা যায়। ২৬ ব্যাগ রক্ত দিয়েও বাঁচানো যায়নি ফাতেমাকে।
তরুণ মনে করেন, তাদের শান্তিনগরের বাসার পাশের ময়লার স্তূপের পাশে জমা পানি থেকেই এইডিস মশার বিস্তার ঘটেছে।