বিনোদনের ধরন দিনে দিনে পরিবর্তন হচ্ছে। সংস্কৃতিতে চলছে ওলটপালট অবস্থা। সেটি নিয়ে পণ্ডিতদের রক্ষণশীল মতামত আর কোনোভাবেই টিকছে না। আর এই করোনাকালেতো একেবারেই সম্ভব হচ্ছে না পুরোনো ধ্যান-ধারণায় আটকে থাকা। পুরো বিশ্ব ঢুকে গেছে ইন্টারনেট জগতে, অন-ডিমান্ড ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভিস, ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড জগতে নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধারণ করে রাখা রক্ষণশীল সমাজের জন্য কঠিনতর কাজ।
আমাদের ছোটবেলায় ঈদের বড় বিনোদন ছিল বিভিন্ন সাপ্তাহিকের ঈদ সংখ্যা। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি যাওয়া। সবাই যেন সারাবছরের অপেক্ষা নিয়ে বসে থাকতেন ঈদের জন্য। অপূর্ব সব সমাহারে ভর্তি থাকতো ঈদ সংখ্যা। কাড়াকাড়ি লাগতো তা পড়ার, সংগ্রহে রাখার। বড় বড় লেখকদের উপন্যাস, কবিতা, ভ্রমণকাহিনী থাকতো। থাকতো তারকাদের নিয়ে চমৎকার ফিচার। যারা এই সমস্ত পত্রিকায় লিখতেন তারাও যেন সারাবছর অপেক্ষায় থাকতেন নিজের সেরাটা উপহার দেয়ার জন্য।