প্রতি বছর পৃথিবীর ১৫০টি দেশে পরিবেশপ্রেমীরা পালন করেন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এ বছরের বিষয়বস্তু ছিল বাস্তুতন্ত্র। বাস্তুতন্ত্রের চারটি মূল উপাদান—বায়ু, পানি, মাটি ও জীববৈচিত্র্য। আমরা যে পরিবেশে বেঁচে আছি, সেখানে প্রতিটি প্রাণ ও উপাদান পরস্পরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এদের একটি উপাদান ক্ষতিগ্রস্ত হলেই আঘাত লাগে প্রকৃতির ভারসাম্যে। বিজ্ঞানীরা সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, আমরা পৃথিবীর মানুষ এরই মধ্যে তিনটি প্রধান উপাদানের সীমা অতিক্রম করে ফেলেছি। এগুলো হচ্ছে—জীববৈচিত্র্য, নাইট্রোজেন ও জলবায়ুর পরিবর্তন।
১৭৫০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে পৃথিবীর বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইড ২৮০ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) থেকে বেড়ে প্রায় ৪১০ পিপিএম হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে গড় তাপমাত্রা প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখানো হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর গড় উত্তাপ যদি আরো শূন্য দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পায়, তবে বাস্তুতন্ত্রে প্রবল আঘাত লাগার সম্ভাবনা থাকবে। কিন্তু বাস্তবে অন্য দৃশ্য অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। পৃথিবীর ঔদাসীন্য অবস্থান অব্যাহত থাকলে শতাব্দীর শেষে ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস উত্তাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। আমাদের আজকের পৃথিবীর অভিজ্ঞতাও জানিয়ে দিচ্ছে এমনই চিত্র। আইলা, বুলবুল, আম্ফান, ইয়াস এমনভাবে লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে উপকূলে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাপন ও বাস্তুতন্ত্রকে।