বেচারা ম্যাট হ্যানকক। কপালটাই খারাপ। ব্রিটেনের করোনা পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলা করেছিলেন। গণটিকা কর্মসূচিতে তার কৌশল ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল দেশে- বিদেশে। এ খুশিতেই হয়তো একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। অফিসকক্ষেই চুমু খেয়ে বসেন সহকারী গিনাকে। কিছু দুষ্টু লোক স্বাস্থ্য বিভাগে ঘটে যাওয়া একান্ত ব্যক্তিগত মুহুর্তকে ক্যামেরাবন্দী করে ফেলে। ব্যস, এটি ছড়িয়ে পড়ে ট্যাবলয়েড থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তীব্র সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। ম্যাট চুরি করেননি, নিয়োগবাণিজ্য করেননি, গণমাধ্যমকর্মীকে চার ঘণ্টা আটকে রেখে বলেননি ‘ওই সাংবাদিক খামচি দিয়েছে’। করোনা মোকাবিলায় একের পর এক ভুল পদক্ষেপ নেননি। তবু তাকে সরে যেতে হলো। কারণ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ম্যাট তার সহকর্মী গিনা কোলাডকে চুমু খেয়েছেন। ভাগ্যিস দুর্নীতির দায়ে তাকে পদত্যাগ করতে হয়নি। চুমুর জন্য পদত্যাগ করতে হয়েছে। এটা দেখে নিশ্চিত, দুর্নীতিবাজ কোনো স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলবেন ‘আমি তো জীবনে কাউকে চুমুই খাইনি, আমি কেন পদত্যাগ করব!’ চুমু মানেই অশ্লীলতা নয়। চুমু ভালোবাসার এক নিবিড় আবেগের প্রকাশ। প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীই শুধু ভালোবাসার আবেগ প্রকাশে চুমু দেয়। পিতা তার কন্যাকে চুমু দিয়ে স্নেহের প্রকাশ ঘটায়। চুমুর নানা প্রকরণ আছে। এটি ভালোবাসার এক শারীরিক প্রকাশ। কিন্তু বিদায়ী ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুটো ভুল করেছিলেন।