নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার মধ্যে যাচাই-বাছাই না করেই দেওয়া হয়েছে ঋণ। এখন তা আদায় করা যাচ্ছে না। ফলে মন্দ ঋণের বড় ঝুঁকিতে পড়েছে সরকারি-বেসরকারি আট ব্যাংক। তাদের মধ্যে কয়েকটির মোট বিতরণ ঋণের ৮০ থেকে ৯৭ শতাংশই আদায় অযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। এসব ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে কয়েকটি ব্যাংক। মূলধন ঘাটতিতেও রয়েছে অনেকে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাতের ঘটনা আর বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে বিতরণের এসব ঋণ আদায় হচ্ছে না। ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন অজুহাতে দেওয়া হচ্ছে নানা সুযোগ-সুবিধা। সুদ মওকুফ, পুনঃতফসিল, পুনর্গঠন, অবলোপনসহ বেশকিছু প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, প্রভাবশালীদের চাপে অনিচ্ছা সত্ত্বেও এসব সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এত সুযোগ দেওয়ার পরও মন্দ ঋণের বড় ঝুঁকিতে পড়েছে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলো।