জীবননগরে মামলা করে বিপাকে বাদী, প্রাণনাশের হুমকি

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২১, ০০:০০

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের ঘুগরাগাছি গ্রামের কামরুল ইসলাম নামের এক প্রান্তিক কৃষক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পড়েছেন। আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে প্রতিপক্ষরা মামলা তুলে নেয়াসহ ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮০ হাজার টাকা দাবি করেছে। এ পরিস্থিতিতে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ভুক্তভোগী বাদী পরিবারের। ঘুগরাগাছি গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে জুবায়ের হোসেন বলেন, আমার চাচা কামরুল হাসানের সঙ্গে সম্প্রতি শুকুর আলীর ছেলে আলী আহম্মদের (৩০) আদালতে একটি নন-জিআর মামলা চলছে। ওই মামলায় আমার ইন্ধন রয়েছে বলে সন্দেহ করছে প্রতিপক্ষ। আমাকে ও আমার চাচাকে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। আলী আহম্মদের দাবি, মামলায় তাদের ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ওই টাকা তাদেরকে না দিলে তারা আমাকে ও আমার চাচা কামরুল হাসানের লাশ ফেলে দেবে। তিনি আরও বলেন, গত ১৯শে জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে আলী আহম্মদের নেতৃত্বে একই গ্রামের জাহাঙ্গীর, শাহার, এতিম ও চঞ্চল কামরুলের বাড়িতে যায়। এই সময় শাহার ও জাহাঙ্গীরের হাতে দা ও হাঁসুয়া ছিল। তারা সেখানে আমার চাচাকে বলে ৮০ হাজার টাকা না দিলে হাত-পা ভেঙে দেবে। তাদের ভয়ে আমরা শঙ্কার মধ্যে আছি। এ কারণে আমি থানায় জিডি করতে গিয়েছিলাম। পুলিশ বলেছেন ঘটনা তদন্তের পর জিডি করে ব্যবস্থা নেবে। আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য মহাসিন আলী বলেন, ঘটনার কথা শুনেছি। আলী আহম্মদ আওয়ামী লীগ করে সেই শক্তিতে এসব করে বেড়াচ্ছে। আলী আহম্মদ বাদে তাদের পরিবারের আর কেউ আওয়ামী লীগ করে না।অভিযুক্ত আলী আহম্মদ বলেন, আমি কিংবা আমার কোনো লোকজন কাউকে হুমকি- ধমকি দেয়নি। আর টাকা পয়সা দাবি করার তো প্রশ্নই ওঠে না। আমরা জামিনে এসেছি। আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো। এ ব্যাপারে শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্পের সাব-ইন্সপেক্টর লস্কর আলী বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশে আমি ঘটনাটি তদন্ত করছি। তবে পুরোপুরি তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটন করা সম্ভব হবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us