ব্রডব্যান্ড সংযোগের ক্ষেত্রে বাড়িতে বিনা মূল্যে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার সুযোগ চালু হলেও বেশির ভাগ অভিভাবক বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না। শিশুদের মা–বাবার হাতে বিনা মূল্যে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার অন্যতম শর্তজুড়ে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (আইএসপি) জন্য নিবন্ধন নীতিমালা ছয় মাস আগে কার্যকর হয়েছে।
ব্রডব্যান্ড সরবরাহকারীদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) বলছে, এখন পর্যন্ত তাদের কাছে কোনো অভিভাবক এ সুবিধা নিতে চাননি। তবে কয়েকজন অভিভাবক জানিয়েছেন, তাঁরা বিনা মূল্যে এ সুবিধা নেওয়ার বিষয় সম্পর্কেই জানেন না। এ ব্যাপারে আইএসপির গাফিলতি আছে উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রথম আলোকে বলেছেন, এ বিষয়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ নেবেন তিনি।
করোনাকালে শিশুদের পড়াশোনাসহ বাড়িতে ইন্টারনেট ব্যবহার বহুগুণে বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের জন্য নিয়ন্ত্রক ও নিবন্ধন নীতিমালাটি কার্যকর করে। যাতে ব্রডব্যান্ড সংযোগ নেওয়ার সময় বাবা-মায়েরা চাইলে শিশুরা কত সময়ে, কী কী সাইটে ব্রাউজ করতে পারবে, তা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন বিনা মূল্যে। এর দুই বছর আগেই অভিভাবকদের হাতে নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা রাখার ওপর জোর দিয়ে আইএসপির জন্য নির্দেশনা দেয় বিটিআরসি।