ধর্ম ও রাষ্ট্রের অবস্থান, তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক, মানুষে মানুষে সৌহার্দ্যমূলক সম্পর্ক, পারস্পরিক সম্মানবোধ ও অধিকারের স্বীকৃতি এবং তার বাস্তব প্রয়োগ, গণতন্ত্রের প্রাথমিক ও মৌলিক মাপকাঠি- এসব বিষয় নিয়ে শত শত বছর আগে থেকে পৃথিবীব্যাপী মানুষ আলাপ আলোচনা চালিয়ে যেসব সিদ্ধান্তে এসেছে, সেগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষিত আদর্শগুলো ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
ইউরোপে চার্চের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক নির্ধারণে বিস্তর তর্ক-বিতর্ক, আলাপ আলোচনা, লড়াই-সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাস সম্পর্কে বিশ্ববাসী অবহিত। বহু আগে এসবের ইতিও ঘটেছে। তারা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল- রাষ্ট্রের ওপর চার্চের কোনো প্রাধান্য থাকতে পারবে না। চার্চ মানুষের ঐচ্ছিক এবং একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের প্রার্থনা গৃহ। কিন্তু রাষ্ট্র যেহেতু ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সব নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করে; তাই রাষ্ট্র সবার, ধর্ম যার যার- এ বিষয়টি দীর্ঘকাল আগেই অবিতর্কিতভাবে মীমাংসিত।