বরগুনার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইউসুফ শরীফের বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রীসহ ৯ জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ওই বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। গত রোববার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ শরীফের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার (৪৮) এর নাম জানা যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়াও অন্য আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ইউসুফ শরীফের স্বজনরা জানান, তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইমাম হাসান শিপনের কর্মী ও সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সরিষামুড়ি ইউনিয়নের নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমাম হাসান শিপন বলেন, আমার কোনো কর্মী সমর্থক এ ঘটনায় জড়িত নয়। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ সুপরিকল্পিত। আমি চাই পুলিশ সঠিক রহস্য উদ্‌ঘাটন করুক।ইউসুফ শরীফের ছেলে হামিম শরীফ বলেন, আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিয়ে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকরা অতর্কিতভাবে আমাদের বাড়িতে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এরপর বাড়িতে থাকা আমার মা’সহ ৯ জনকে কুপিয়ে জখম করে। এরপর তারা আমাদের ঘর ও গোয়ালঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনার খবর পেয়ে বেতাগী থানা পুলিশ আমাদের বাড়িতে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বেতাগী উপজেলা হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বেতাগীর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা মিজান সালেহ বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট আধাঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের চেষ্টা চলছে। বেতাগী থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে পুলিশ। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ছাড়াও এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও বেতাগী সার্কেল) মেহেদী হাসান বলেন, সরিষামুড়ির ঘটনায় খবর পেয়ে বেতাগী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।