বছরের পর বছর এই দেশে বাজেট নিয়ে যে আলোচনা হয়, সেটা ‘প্রাগৈতিহাসিক’। অবশ্য এটাই হওয়ার কথা; বাজেটই যদি হয় ‘প্রাগৈতিহাসিক’, তাহলে তার আলোচনাটাও সে রকম হতে বাধ্য। প্রতিবছর বাজেট প্রণয়ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেখার চেষ্টা করি বাজেট কতটা বিনিয়োগ-কর্মসংস্থানবান্ধব হলো, কিসের দাম বাড়বে–কমবে, সমালোচনা করি কেন আমাদের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ এখনো জিডিপির ১ শতাংশের নিচে (যেটা হওয়া উচিত কমপক্ষে ৫ শতাংশ), কেন আমরা এখনো জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষায় বরাদ্দ না করে করছি তার এক-তৃতীয়াংশ, কেন সামাজিক সুরক্ষা বাজেটে প্রকৃত বরাদ্দ এত কম, কেন স্বাস্থ্য-শিক্ষা-সামাজিক সুরক্ষার মতো কল্যাণ খাতের জিডিপির অনুপাতে বাজেটের বরাদ্দে এমনকি দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা কেন সবচেয়ে নিচে।