দেশে এ বছর পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। গতবছরের তুলনায় ভালো ফলন হয়েছে। শতভাগ ঘাটতি হয়তো মিটবে না, তবে ঘাটতির পরিমাণ এবছর অতীতের যে কোনও সময়ের তুলনায় কম হবে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে দেশের পেঁয়াজের বাজারে।
কিন্তু এরই মধ্যে হঠাৎই কয়েকদিন পরপর পেঁয়াজের বাজার অস্থির করে তোলার একটা অপচেষ্টা চালানো হয়। এতে পেঁয়াজের দাম মাঝে মধ্যেই অস্বাভাবিক হয়ে ওঠার চেষ্টা করে। এতে কখনও কেজিতে ৫ টাকা আবার কখনও ১৫ টাকা পর্যন্ত বাড়ে। ধারণা করা হচ্ছে বিভিন্ন অজুহাতে এ কাজটি করছেন মধ্যস্বত্বভোগীদের একটি বড় অংশ। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, আড়তদার, ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, মৌসুমের সব পেঁয়াজ মাঠ থেকে কৃষকের ঘরে উঠে এসেছে। বাজারজাত করা হচ্ছে সেসব পেঁয়াজ। বাজার এখন দেশি পেঁয়াজে সয়লাব। আমদানি করা ভারতের পেঁয়াজও রয়েছে বাজারে। কাজেই কোনও অজুহাতেই পেঁয়াজের সরবরাহে সংকট সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়নি। তারপরও কখনও রমজান, কখনও লকডাউন, কখনও রাস্তায় গাড়ি না চলা আবার কখনও বৃষ্টির অজুহাত দেখিয়ে সুবিধাবাদী মুনাফাখোররা পেঁয়াজের কেজিতে দাম বাড়িয়েছেন ৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা। আবার সীমান্তে বন্দরগুলোয় যখন ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা বেড়েছে, সেই সুযোগ দেশি পেঁয়াজের দামও বাড়িয়েছেন এসব সুবিধাবাদী মুনাফাখোররা।