‘আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে।/তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে।/তবু প্রাণ নিত্যধারা, হাসে সূর্য চন্দ্র তারা,/বসন্ত নিকুঞ্জে আসে বিচিত্র রাগে।/তরঙ্গ মিলায়ে যায় তরঙ্গ উঠে,/কুসুম ঝরিয়া পড়ে কুসুম ফুটে।/নাহি ক্ষয়, নাহি শেষ, নাহি নাহি দৈন্যলেশ।/সেই পূর্ণতার পায়ে মন স্থান মাগে।’’
আজ ২৫ বৈশাখ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১) ১৬০তম জন্মবার্ষিকী। করোনাভাইরাস কবলিত দুর্যোগময় পৃথিবীতে তাঁর জন্মদিন ভিন্নতর তাৎপর্য নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ মার্চ শুরু হয়েছে ‘মুজিববর্ষ’চলবে ২০২১ সাল অবধি। স্বাধীনতার ৫০ বছরও উদযাপিত হচ্ছে অনলাইন মাধ্যমে। এই বিশেষ সময়ে বঙ্গবন্ধুর প্রিয় কবিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানোর জন্য আমরা প্রত্যেকেই অন্তরের গভীর থেকে অনুপ্রাণনা অনুভব করছি। কারণ রবীন্দ্রনাথ আমাদের নিত্যসঙ্গী, বাঙালির আত্মপরিচয়ের অন্যতম স্তম্ভ। তাঁকে কেন্দ্র করে কেবল পাকিস্তানি সরকারের বিতর্কিত ভূমিকা নয় ১৯৭১ এর আগে থেকেই বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য চিহ্নিত হয়েছে তাঁর মাধ্যমে।