ঢাকার তাপমাত্রা বছর বছর বাড়ছে। মাঝেমধ্যে তীব্র গরমে ঘরে টেকাই দায় হয়ে পড়ে। একটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) কিনতে পারলে মন্দ হতো না, ভাবতে ভাবতে গত মাসে কয়েকটি ব্র্যান্ডের দোকান ঘুরে ফেললেন শিহাব উদ্দিন। কিন্তু দাম দেখে চিন্তায় পড়ে গেলেন বেসরকারি এই চাকরিজীবী। দেড় মাসের বেতন যোগ করলে দেড় টনের একটা এসি মিলবে।
একদিকে মাসের শেষ। পকেট গড়ের মাঠ। উপায় কী? সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে আলমারির এক কোনায় সযত্নে পড়ে থাকা ক্রেডিট কার্ডটির কথা মনে পড়ল। দ্রুত মোবাইলের ক্যালকুলেটর টিপে হিসাব কষলেন। মাসে ৫ হাজার ৭৫০ টাকা কিস্তি দিলেই চলবে। ১২ মাস দিলেই মুক্তি। আর মাসের যে বেতন, তাতে টেনেটুনে এসির জন্য ৬-৭ হাজার টাকা বের করা যাবে। যদিও অন্যান্য খরচে হালকা লাগাম টানতে হবে। যা–ই হোক, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে দোকানের পথে পা বাড়ালেন।
গরম নিয়ে দুশ্চিন্তা কমেছে শিহাবের। বললেন, ‘আমার মতো মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য ক্রেডিট কার্ড সত্যিই আশীর্বাদ। ক্রেডিট কার্ডের কিস্তি সুবিধার সেবাটি না থাকলে নগদ টাকায় প্রয়োজনীয় অনেক কিছু কেনা সম্ভব হতো না। তবে ক্রেডিট কার্ডে খরচ ও অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হয়। না হলে চড়া সুদে ঋণ শোধ করতে করতে বছর চলে যাবে।’