রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ভাঙচুরের মামলায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। আজ সোমবার বেলা ১১টার পরে মামুনুলকে আদালতে নেওয়া হয়। আদালতের বাইরে কড়া পাহারায় ছিল প্রচুর পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয় থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে। সোমবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৮ মিনিটে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। আদালতের হাজত খানার সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকায় মামুনুলের বিরুদ্ধে ১৭ মামলা
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে কেবল রাজধানীতেই অন্তত ১৭টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের তাণ্ডবের পর হওয়া ১৫টি মামলায় তাঁর নাম রয়েছে। এসব মামলার বাদী পুলিশ। পল্টন থানায় হওয়া সর্বশেষ মামলার বাদী যুবলীগের এক নেতা। আর মোহাম্মদপুরে আরেকটি মামলার বাদী সাধারণ মানুষ।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামুনুলকে নেওয়া হয়েছে তেজগাঁও থানায়
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের পর তেজগাঁও থানায় নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল প্রথম আলোকে বলেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হেফাজত নেতা মামুনুল হক গ্রেপ্তার
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার (১৮ এপ্রিল) বেলা একটার দিকে তাঁকে মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপকমিশনার হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।
যেভাবে গ্রেফতার হলেন মামুনুল হক
আইনশৃঙ্খলা বাহনীর কর্মকর্তারা জানান, তারা অপেক্ষায় ছিলেন মামুনুল হকের মাদ্রাসা থেকে বের হওয়ার। সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যেই রাখা হয়েছিল তাকে। এর মধ্যে হেফাজতের মধ্যম সারির একাধিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। যাতে মামুনুল হক গ্রেফতার হলে কেউ মাঠে নেমে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মামুনুল হকের মাদ্রাসা থেকে বের হওয়ার অপেক্ষা করলেও রবিবার (১৮ এপ্রিল) তাকে মাদ্রাসা থেকেই গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে মাদ্রাসায় কতজন শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন সেই তথ্য সংগ্রহ করেন। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় মামুনুল হকের সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হন। এরপরই পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তাসহ গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিম তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালান।
নজরদারিতে হেফাজতের আরও ৩৫ কেন্দ্রীয় নেতা
হেফাজতে ইসলামের বহুল আলোচিত নেতা মামুনুল হককে গতকাল দুপুরে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে হেফাজতের ৯ জন কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার হলেন। সংগঠনটির আরও ৩৫ জন নজরদারিতে আছেন, যাঁদের মধ্যে কেন্দ্রীয় ও শীর্ষস্থানীয় নেতা আছেন অন্তত ২৫ জন।