অনন্তর কেন এমন অকালে অনন্তযাত্রা

কালের কণ্ঠ মোফাজ্জল করিম প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২১, ১১:২৮

বর্তমান মাইজদীকোর্ট শহর দেখে কেউ কল্পনাও করতে পারবে না তখন ওই জেলা শহরটি দেখতে কেমন ছিল। শহর তো নয়, যেন বর্তমান শহরের কঙ্কাল। আসলে উনিশ শ চল্লিশের দশকের শেষভাগে মেঘনার তীরে অবস্থিত সেই আমলের উভয় বাংলার সেরা সুন্দরী নগরীদের অন্যতম ছিল নোয়াখালী। শহরটি মেঘনার ভাঙ্গনে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর প্রায় ১২-১৪ মাইল উত্তরে মাইজদীতে স্থানান্তরিত হয় জেলা সদর। অফিস-আদালত, স্কুল, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় সবই গড়ে ওঠে মাইজদীতে। আর যেহেতু কোর্ট-কাচারি স্থাপিত হলো মাইজদীতে, তাই ওই জনপদের নামের সঙ্গে ‘কোর্ট’ সংযুক্ত হয়ে এই নবপ্রতিষ্ঠিত শহরের নাম হয়ে গেল মাইজদীকোর্ট। আর দিন গুজরানের মতো টিনের চাল, টিনের/তরজার বেড়া, কোথাও খড়ের চাল তরজার বেড়ার বাড়ি-ঘর-দুয়ার উঠল সেই নিরাভরণ সদ্যোজাত শহরে। বাস্তুভিটার মাটির প্রয়োজনে শহরের বুক চিরে কাটা হলো খাল, আর এখানে-সেখানে খনন করা হলো পুকুর।


মেঘনাগর্ভে হারিয়ে যাওয়া নোয়াখালীসুন্দরীর সে কী করুণ পরিণতি। পঞ্চাশের দশকে দু-চারটি আধাপাকা সরকারি স্থাপনা ব্যতীত বাটি চালান দিয়েও সারা শহরে ইট-পাথরের ঘরবাড়ি খুঁজে পাওয়া যেত কিনা সন্দেহ। আর লোকসংখ্যা? কত আর হবে, আন্দাজ করি বড়জোর হাজার পঁচিশেক। বর্তমানে যে মাইজদীকোর্ট নামক সুপরিকল্পিত, নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত শহরটি গড়ে উঠেছে তার যাত্রা শুরু হয়েছে তো এই সেদিন : বোধ করি ষাটের দশকে বা তারও পরে। পঞ্চাশের দশকে হৃতসর্বস্ব মাইজদীকোর্ট শহরটি যাঁরা দেখেছেন তাঁরা উদ্গত দীর্ঘনিঃশ্বাস চেপে বাষ্পাকুল নয়নে নিশ্চয়ই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। অন্তত আমি তো পড়ি। ১৯৫৪-৫৬ সময়কালে দুই বছর মাইজদীকোর্ট শহরের বাসিন্দা ছিলাম আমরা। আমি টিনের চালবিশিষ্ট আধাপাকা একতলা এল-প্যাটার্নের নোয়াখালী জিলা স্কুল থেকে ৫৬ সালে ম্যাট্রিক—বর্তমান এসএসসি পাস করি। আজকের নিবন্ধের শুরুতে সামান্য স্মৃতিরোমন্থন সেই সময়কার।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us