নারায়ণগঞ্জ শহরের কয়লাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় কার্গো জাহাজটি। কার্গোটির নাম এসকেএল-৩। এরপর বদলে ফেলা হয় কার্গোর রং। কার্গোটিকে জব্দ করা কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ এমন তথ্য জানিয়েছে।
শীতলক্ষ্যায় লঞ্চকে ধাক্কা দেওয়া সেই কার্গো জাহাজসহ আটক ১৪
নারায়ণগঞ্জ শহরের কয়লাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেওয়া কার্গো জাহাজটিকে আটক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় নোঙর করা অবস্থায় কার্গো জাহাজটি আটক করে কোস্টগার্ড। এ সময় কার্গো জাহাজটির চালকসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়। আটক ওই কার্গো জাহাজের নাম এসকেএল-৩।
মামলায় কার্গো জাহাজটির নাম নেই, জব্দও হয়নি
সড়কে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে যানবাহনের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা শোনা যায় প্রায়ই। এবার নারায়ণগঞ্জে যাত্রীবাহী লঞ্চকে ধাক্কা মেরে ডুবিয়ে দেওয়ার পর হাজার টন ওজনের বিশাল একটি কার্গো জাহাজকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ।
গত রোববার সন্ধ্যার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ সাবিত আল হাসান। দুর্ঘটনার পর ডুবে যাওয়া লঞ্চের যাত্রীদের উদ্ধার না করে পালিয়ে যায় কার্গো জাহাজটি। ওই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর জাহাজটিকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জব্দ করা হয়নি।
মনপুরায় অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ, ধারণা শীতলক্ষ্যার লঞ্চযাত্রী
ভোলার মনপুরা দ্বীপের মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে উদ্ধারকৃত মরদেহটি ঢাকার নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে দুর্ঘটনায় পতিত হওয়া সাবিত আল হাসান লঞ্চের নিহত কোনো যাত্রীর বলে ধারণা করছে পুলিশসহ স্থানীয়রা।
শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: গণশুনানি করবে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি
নারায়ণগঞ্জ শহরের কয়লাঘাট এলাকায় মালবাহী জাহাজের (কার্গো) ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবিতে ৩৪ জনের প্রাণহানির ঘটনায় ৮ এপ্রিল গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এতে মৃত ব্যক্তিদের স্বজন, দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য নেবে জেলা প্রশাসনের সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি।
বুধবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরী স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবির ঘটনায় হত্যা মামলা
নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে ‘এস কে ৩’ নামের লাইটার জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ‘সাবিত আল হাসান’ নামের লঞ্চ ডুবে ৩৫ জন নিহতের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে লাইটার জাহাজের চালকসহ সংশ্লিষ্টদের। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাতে বন্দর থানায় মামলাটি করেন বিআইডব্লিউটিএ-এর সহকারি পরিচালক (ট্রাফিক ও নিরাপত্তা বিভাগ) বাবুলাল বৈদ্য।
শীতলক্ষ্যায় লঞ্চ ডুবি: দুই তদন্ত কমিটির কাজ শুরু
নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবির ঘটনায় গঠিত চারটি সংস্থার তদন্ত কমিটি গঠন করেছে; এর মধ্যে দুইটি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।