মিয়ানমারে গণতন্ত্রপন্থিদের আন্দোলনে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। সামরিক জান্তা যেন আরেকটি গণহত্যার দিকে আগাচ্ছে। হত্যাযজ্ঞ উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন শহরে প্রতিদিনই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সরকারকে হটিয়ে সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করে এবং দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। তাদের ক্ষমতা গ্রহণের মাধ্যমে মিয়ানমার প্রায় এক দশক ধরে আংশিক গণতন্ত্র চর্চার কবর রচনা করেছে। এখন পর্যন্ত সু চির দল ও বিরোধী জোট ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে যাচ্ছে। ১৯৮৮ সালে দেশে ফেরার পর অং সান সু চি মিয়ানমারের অবিসংবাদিত নেত্রী ও মিয়ানমার মূলত বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক। উল্লেখ্য, অং সান সু চির সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। অন্যভাবে বলা যায়, পশ্চিমারা মিয়ানমার বিষয়ে অং সং সু চির ওপর নির্ভর করতে চায়। সু চি নিজেও দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যে বসবাস করেছেন। ২০২০ সালের নির্বাচনেও সু চির দল বিপুলভাবে জয়লাভ করে; যদিও সামরিক বাহিনী আভিযোগ করছে, নির্বাচন ও নির্বাচনের আগে সু চির দল অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। সামরিক বাহিনীর এই অভিযোগকে ক্ষমতা গ্রহণের জন্য একটি খোঁড়া যুক্তি হিসেবে দেখা যেতে পারে।