মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে সে দেশের জান্তার আদালতে প্রথমে চার বছর, পরে বিশ্বের নিন্দায় দুই বছরের সাজা দেওয়ার ঘটনাটি দেশটির গণতন্ত্রের ওপর বছরের দ্বিতীয় আঘাত। প্রথম আঘাতটি এসেছিল এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনীর ক্যুতে ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে। সু চির বিরুদ্ধে দুই মামলায় করোনা-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ভঙ্গ এবং অভ্যুত্থানকারী সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত সু চিকে কেবল এবারের সামরিক অভ্যুত্থান থেকেই নয়, বরং এর আগেও ১৯৮৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ২১ বছরের মধ্যে ১৫ বছরই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গৃহবন্দি করে রাখে। পরে সু চি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে গণতন্ত্রের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী হন।
জান্তার আমলে ৭৬ বছর বয়সী সু চির এটি প্রথম সাজা। গত বছরের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে সামরিক জান্তা মিয়ানমারে ক্ষমতা দখল করে। সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি-এনএলডি ওই নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় লাভ করে। যদিও নিরপেক্ষ নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা ওই নির্বাচনে বড় কোনো অনিয়ম পাননি। সু চির বিরুদ্ধে এ রায়ের প্রতিবাদে মিয়ানমারের অন্যতম প্রধান শহর মান্দালয় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে।