অতি তুচ্ছ ঘটনায় বারবার হামলার লক্ষ্যবস্তু হয় দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। গত ১৭ মার্চ যখন দেশব্যাপী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে, সেদিন সকালে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে ঘটে গেল ন্যক্কারজনক ঘটনা। একটি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া নিয়ে একযোগে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয় ওই গ্রামের ৮৮টি হিন্দুবাড়ি ও পাঁচটি মন্দিরে। তাদের হামলা থেকে রেহাই পাননি স্থানীয় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাও।
২০০১ সালের নির্বাচনের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। সংখ্যালঘুদের নির্যাতনে ও সম্পত্তি দখলের ক্ষেত্রে সব দলের দৃষ্কৃতকারীরা আছে, কেউ পিছিয়ে নেই। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে একনাগাড়ে প্রায় এক যুগ ক্ষমতায়। এখনো সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন-হয়রানি বন্ধ হয়নি, তার প্রমাণ সুনামগঞ্জের নোয়াগাঁও, কক্সবাজারের রামু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, পাবনার সাঁথিয়া, দিনাজপুরের ঘটনাবলি। এসব ঘটনায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সুবিধাবাদী নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ রয়েছে । সুবিধাবাদী ব্যক্তি, দুষ্কৃতকারীরা রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায়, রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে বা প্রভাব খাটিয়ে নির্যাতন চালায়, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে।