বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলায় হিন্দু বাড়িঘরে হামলার জের ধরে উত্তেজনার মধ্যেই জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের একটি ওয়াজ মাহফিল আটকে দিয়েছে প্রশাসন। জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় ইসলামি মহাসম্মেলনের নামে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করেছিলো সেখানকার একটি মাদ্রাসা।
শাল্লার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে ১০ নাগরিকের বিবৃতি সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে হেফাজতে ইসলাম সমর্থকদের হামলার ঘটনা উল্লেখ করে দেশ থেকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১০ নাগরিক। শিক্ষাবিদ, লেখক, নাট্যব্যক্তিত্বসহ ১০ নাগরিক গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব বর্ষ পালন করছে, তখন শাল্লায় যে অমানবিক সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটেছে, তা আমাদের ক্ষুব্ধ করেছে।
হামলা হতে পারে জেনেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হতে পারে আঁচ করে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছিলেন গ্রামবাসী। তখন পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল, হামলা হবে না তাঁদের গ্রামে। কিন্তু পরদিন নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের ওপর ঘটে ভয়াবহ হামলা। বাড়িঘর-মন্দির ভাঙচুরের সঙ্গে চলে লুটপাট।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা বলেছেন, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা আন্তরিক হলে এই হামলা প্রতিরোধ করা যেত। আর পুলিশ বলছে, বিক্ষোভকারীরা হামলা করবে না বলে কথা দিয়েছিল।
শাল্লায় হিন্দুদের বাড়িতে হামলায় জড়িতদের শাস্তি চায় ঢাবি শিক্ষক সমিতি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি৷ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হামলার শিকার পরিবারগুলোর ক্ষতিপূরণ ও নিরাপত্তা দাবি করেছেন সংগঠনটির সমিতির সভাপতি মো. রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামুল হক ভূইয়া৷
শাল্লায় হামলার মামলায় গ্রেপ্তার ২২ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় ২২ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নোয়াগাঁও গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যক্তি ৭০০ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, ওই মামলায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হামলায় জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ছয় সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। আটকের সংখ্যা বাড়তে পারে।”