২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় ফিরে আসার পর কয়েক বছর বিএনপি ও জামায়াতের দলবদ্ধ ক্ষমতা কম ছিল না। তাদের পেছনে দেশের একটি সুশীল সমাজ, একটি ‘নিরপেক্ষ’ মিডিয়ার জোর সমর্থন ছিল। তখন বলা হয়েছিল, বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের বা ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হলে দেশে আগুন জ্বলবে। তাদের বিচার করে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। কই, দেশের একটি পাতাও নড়েনি। বলা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে সরালে শেখ হাসিনা দেশে এক দিনও থাকতে পারবেন না। খালেদা জিয়াকে শুধু ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে সরানো হয়নি, দশ বছরের জন্য দুর্নীতির দায়ে তিনি জেলবন্দী (এখন সরকারের নির্বাহী আদেশে জেলের বাইরে আছেন)। তারপরও শেখ হাসিনা বহাল তবিয়তে দেশে আছেন। ক্ষমতায় আছেন।
একটানা সাড়ে তিন বছর দেশে সন্ত্রাস চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াত এবং তাদের সহযোগী জিহাদিস্টরা নিজেরা ধিক্কৃত ও নিন্দিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ রয়েছে অপরাজেয়। ২০১৩ সালে হেফাজতিরা দশ লাখ লোক নিয়ে ঢাকা অভিযানের হুংকার দিয়েছিল। পুলিশ তা এক রাত জলকামান ব্যবহার করে বিনা রক্তপাতে নস্যাৎ করে দিয়েছে।