আপনি দেখলেন, গ্রামের পারে যে নদী তার ওপারে জড়ো হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। তাদের হাতে লাঠি-দা, মুখে হিংসামাখা স্লোগান। তারা আপনাদের শাস্তি দিতে চায়। আপনি নিজেও বুঝতে পারছেন না, গ্রামের মানুষকেও বোঝাতে পারছেন না, কী দোষে তারা হামলা করবে। ভুল বা অপরাধ যিনি করেছেন, সেই যুবকটিকে তো আপনারাই পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছেন। তাঁর কাজে আপনারাও ভয়ানক বিরক্ত। তাহলে কেন দুর্বলের জীবন ও ঘর-সংসারের ওপর এমন হুমকি?
গত বুধবার সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের ঘটনা আরও মারাত্মক হতে পারত যদি আক্রমণকারী ও আক্রান্তদের মাঝখানে প্রকৃতি নিজেই দয়াপরবশ হয়ে একটি নদী পেতে না রাখত। হেফাজতে ইসলামের একজন নেতাকে অপমান করে দেওয়া ফেসবুক পোস্টের দ্বারা উত্তেজিত জনতা আর শ খানেক দরিদ্র কৃষক পরিবারের বসতির মাঝখানে প্রকৃতির তৈরি ওই নদীই বাধা। এই বাধা যদি না থাকত, তাহলে প্রশাসন আসার আগেই এই জনতার বড় অংশটাকেই নোয়াগাঁওয়ের হিন্দু বসতির ওপর লেলিয়ে দেওয়া যেত।