মশা নিয়ে আমাদের ভোগান্তি ক্রমশ বাড়ছে। মশা দমনে সিটি কর্পোরেশনগুলো নানা আয়োজন ও উদ্যোগ গ্রহণ করলেও তেমন সফলতা আসেনি। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও মশা আমাদের প্রচণ্ড বিরক্ত করেছে। এডিস মশা যথারীতি ডেঙ্গু ছড়িয়েছে। এমনকি এবছর শীতকালেও মশার প্রাদুর্ভাব ছিল উল্লেখ করার মতো (শীতকালে সাধারণত মশার বিস্তার কম হওয়ার কথা), যা এখনও চলমান। মশা দমন কার্যক্রমের দায়িত্বে নিয়োজিত সিটি কর্পোরেশনগুলো জনসচেতনতা বৃদ্ধি, মশার লার্ভা ধ্বংসকরণ,
রুটিন করে সকাল-বিকাল কীটনাশক (স্প্রেইং/ফগিং) প্রয়োগ প্রভৃতি কাজ করে আসছে তারপরও মশার প্রাদুর্ভাব কমেনি অথচ প্রতিবছর মশা দমনের নামে কোটি কোটি টাকা খরচ ঠিকই হচ্ছে। বাসা বাড়িতে ব্যবহৃত মশার কয়েল, এরোসল/স্প্রে কোনো কিছুতেই মশা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। ওষুধ বা কীটনাশক হচ্ছে মশা দমনের প্রধান হাতিয়ার। সময় ও কার্যকারিতা বিবেচনায় পৃথিবীব্যাপী এর ব্যবহার হয় সবচেয়ে বেশি। যতই বলা হোক না কেনো ওষুধ/কীটনাশকের উত্তম বিকল্প এখনো পাওয়া যায়নি। তাই ওষুধ/কীটনাশক ব্যবহারে সঠিক কর্মপরিকল্পনাসহ বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।