স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত উল্লাহ থাকেন অন্যের জায়গায়। চলেন ধার-দেনা করে। সরকারি সম্মানীর টাকায় জোড়াতালি দিয়ে চলছে সংসার। তার চিকিৎসা খরচ ও পরিবারের চাহিদা মেটাতে একমাত্র ছেলেকে রিকশা চালাতে হয়। তিন যুগ আগে সরকারিভাবে জমি দেয়া হলেও তা এখন প্রভাবশালীদের দখলে। তাই নিজের বসতভিটা না থাকায় পরের জমিতে টিনশেড ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার।
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার উপজেলার রামনগর গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা রহমত উল্লাহ। ১৯৬৫ সালে এসএসসি পাস করেন। গানের প্রতি ছিল তার অনেক টান। সেই সময় সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান করতেন। তিনি গানকে যেমন ভালোবাসতেন তেমন ভালোবাসতেন জন্মভূমিকে। জন্মভূমির প্রতি এই টান থেকেই ১৯৭১ সালে দেশ রক্ষার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ আজ স্বাধীন। তবে দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনো নিজস্ব বসতবাড়ি জোটেনি এই বীর মুক্তিযোদ্ধার। সংসারে অভাব-অনটনের কারণে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাতে পারেননি। তাই তাদের কপালেও জোটেনি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি চাকরি।