‘আমাদের ভেতর বাঙালিত্বের চেতনাটা প্রবল ছিল। পাকিস্তানি সেনারা এসে মারবে, মেয়েদের তুলে নিয়ে অত্যাচার করবে–এটা সহ্য হচ্ছিল না। ইয়ং ছেলে হয়ে ঘরে বসে থাকব–হতেই পারে না। স্বাধীনতার জন্য, মানুষের মুক্তির জন্য মরতেও প্রস্তুত ছিলাম। অত্যাচারীদের তাড়াব, এ দেশটাকে স্বাধীন করব– বুকের ভেতর এমন চেতনা নিয়েই মুক্তিযুদ্ধের জন্য ঘর ছাড়ার প্রস্তুতি নিই।
করুন মিয়া আমার চাচাতো ভাই। তাকে সঙ্গে নিয়ে সোনামুরা হয়ে চলে যাই ভারতের হাতিমারা ট্রানজিট ক্যাম্পে। সেখানে প্রতিদিন চলে লেফট-রাইট। ক্যাম্প চিফ ছিলেন আইয়ুব। মাসখানেক কেটে গেল। ক্যাম্পে তখন পাঁচশোর মতো যুবক। একদিন আসেন ভারতীয় কর্নেল বাগচি। ট্রেনিংয়ের জন্য যুবকদের বাছাই করেন তিনি।