অপচয়ের অর্থনীতি: সবাই জাতীয় আয় বৃদ্ধির কাজে ব্যস্ত!

বণিক বার্তা ড. এ কে এনামুল হক প্রকাশিত: ০২ মার্চ ২০২১, ০৩:০৫

শুরু হয়েছিল ভোটার পরিচয়পত্র দিয়ে। উদ্দেশ্য ছিল ভোটার সংখ্যা যেন সঠিক হয়। তখন আমার প্রচণ্ড আপত্তি ছিল। যে দেশে নাগরিকত্বই ঠিক নেই, সে দেশে ভোটার পরিচয়পত্র কেবল অর্থের অপচয় মাত্র। ঘটা করে শুরু হওয়া কার্যক্রমের একটি ভালো দিক ছিল, বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিচয় সংগ্রহ করা। বাসায় দুজন কর্মী এলেন। তাদের পরিচয় জানতে চাইলাম। জানালেন শিক্ষক। শুরু হলো নাম ও পরিচয় সংগ্রহের পর্ব। প্রথমে আমার। আপনার নাম? বললাম। পিতার নাম? বললাম। তিনি কি জীবিত না মৃত? প্রশ্নটি শুনে ভড়কে গেলাম। মৃত বা জীবিত পিতার নাম কি পৃথক হয়? ভদ্রমহিলারা বেশ কথা বলেন। না স্যার, তিনি মৃত হলে নামের আগে মৃত লিখে দেব। কেন? জীবিত থাকলে কি তার নামের পাশে ‘জীবিত’ লিখে দেবেন? না তা নয়, তবে মৃত হলে ‘মৃত’ লেখাই নিয়ম। ঠিক বুঝলাম না, কোথায় পেলেন এই নিয়ম? জীবিত না মৃত—এমন কোনো প্রশ্ন নেই আপনার ফরমে কিন্তু এই অবান্তর প্রশ্নটি করছেন কেন? বিষয়টি ওখানেই থামল। বললাম এ মুহূর্তে আমার ভোটার হওয়ার ইচ্ছা নেই। বাদ দিন এত সব ব্যাখ্যার, তবে পিতার নাম জিজ্ঞেস করতে গিয়ে তিনি জীবিত না মৃত—এমন প্রশ্ন যখন করছেন তখন আমার এই কার্ডের দরকার নেই। শিক্ষকরা তবুও বললেন, আমরা তথ্য নিলাম, আপনাকে অমুক তারিখ কেন্দ্রে গিয়ে আঙুলের ছাপ ও ছবি দিয়ে আসতে হবে। এবার এল আমার স্ত্রীর তথ্য সংগ্রহে। তিনি স্কুলের শিক্ষক, তখন বাসায় ছিলেন না। বললেন, আপনি তথ্য দিলেই চলবে। নাম? বললাম। অতঃপর নিজ মনেই বললেন পিতার নাম লাগবে না, আপনার নাম হলেই চলবে। আমিও বেয়াড়া বান্দা। স্ত্রীর ক্ষেত্রে পিতার নাম কেন নিলেন না? না, আপনি তো রয়েছেন। ঠিক বুঝলাম না। না, তিনি তো আপনার সঙ্গেই থাকেন। তাই লাগবে না। কিন্তু আমিও তো তার সঙ্গেই থাকি। তাই আমার সময় কেন স্ত্রীর নাম জিজ্ঞেস করলেন না? ফরমে তা লাগে না। তবে নারীর ক্ষেত্রে স্বামী অথবা পিতার নাম লাগবে। আর লাগবে মাতার নাম। বললাম, আপনারা নিজেরা স্কুলশিক্ষিকা। নারী হয়েও কি বুঝতে পারছেন না এই প্রশ্ন কতটা অসম্মানজনক? নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে প্রশ্নের ভিন্নতা থাকবে কেন? তারা গজগজ করতে করতে চলে গেলেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us