বেলা ১১টার মতো বাজে। পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে গিয়ে এক রিকশাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘ভাই, দেবেন্দ্র দাস লেন কোনটা?’ একজন বললেন, ‘সোজা চলে যান।’ সামনে গিয়ে আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘দেবেন্দ্র দাস লেন কোনটা?’ সবাই শুধু মুখ চাওয়াচাওয়ি করে। শেষে উত্তর মিলল একজন পথচারীর কথায়, ‘সামনে যান, সেখানে এ টি এম গলি পাবেন। ওটাই আসলে দেবেন্দ্র দাস লেন।’ সিটি করপোরেশনের দেওয়া নাম ঢাকা পড়ে গলির নাম কোনো এক ফাঁকে এ টি এম গলি হয়ে গেছে! সরু গলির একটুখানি ভেতরে দোতলা একটি পুরোনো আমলের বাড়ি।
সেখানেই থাকেন এ টি এম শামসুজ্জামান; যাঁর পরিচিতির দাপটে বিলীন হয়ে গেছে গলির পুরোনো নাম। যে মানুষটির কারণে এ নাম তাঁর অবশ্য সেসবে আগ্রহ নেই মোটেও। ঘরের বৈঠকখানা জুড়ে গদি পাতা। নামের প্রসঙ্গ তুলতেই গদিতে বসা মানুষটা বললেন, ‘আমি এত সম্মান পাওয়ার যোগ্য নই। যখন নিজে এ কথা শুনেছি, তখন বলেছি, তোমরা আমাকে ভালোবাস, ভালো কথা। কিন্তু এত ওপরে উঠিও না। কারণ, ওটা আমার জায়গা নয়।’