শাসক যখন জনগণের হাতে শাসক বদলের ক্ষমতা রাখতে চান না, তখন শাসকেরা জনগণকেই বদলে দেন। তখন নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়, কিন্তু ভোট হয় না। সেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি (জনগণ) হন অবাঞ্ছিত। তখন গণতন্ত্রের চালিকা শক্তি জনপ্রতিনিধিত্ব নিজেই অচল হয়ে যায়। ভোটাধিকার হারানো জনগোষ্ঠীকে তখন আর যা-ই বলা হোক, সংবিধানে বর্ণিত জনগণ বলা যায় না। এই জনগণের তাহলে কী করণীয়?
গত সপ্তাহে ঠাকুরগাঁওয়ের এক নির্বাচনী সভায় কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম বলেন, ‘যাঁদের মনে ধানের শীষের সঙ্গে প্রেম আছে, তাঁরা কী করবেন? ১৩ তারিখে ঠাকুরগাঁও ছেড়ে চলে যাবেন। ১৩ তারিখ সন্ধ্যার পরে তাঁদের দেখতে চাই না। তাঁদের ভোটকেন্দ্রে আসার কোনো প্রয়োজন নাই।’ যাঁরা বিশেষ একটি দলকে সমর্থন করবেন না, তাঁদের দেশছাড়া করার হুমকিও প্রায়ই শোনা যায়।