করোনা অতিমারিতে পৃথিবী আক্রান্ত হওয়ার ঠিক আগের বছরটি, ২০১৯ সাল, ছিল ‘আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষাবর্ষ’। জাতিসংঘ স্বীকৃত আন্তর্জাতিক বর্ষ হিসেবে প্রায় ৭৮টি দেশে দিবসটি পালিত হয়। পৃথিবীর বিপন্নপ্রায় নৃতাত্ত্বিক ভাষাগুলোর সংরক্ষণ, প্রসার ও উন্নয়ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই বর্ষটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২০২২-৩২ সময়কালকে ‘আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষা দশক’ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিপন্ন ভাষাগুলোকে টিকিয়ে রাখা, তাদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীবনের স্বাতন্ত্র্যকে সমুন্নত রাখা এবং জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সবার সমান ভাষিক অধিকার নিশ্চিত করা। প্রশ্ন হচ্ছে, ২০২১ সালের বর্তমান বাস্তবতায় বাংলাদেশ তার ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর জন্য কতটা প্রস্তুত?