‘অক্সফোর্ড ডিকশনারি অব পলিটিক্স’-এ সংবিধানকে একটি জাতির শাসনব্যবস্থার মৌলিক নীতিমালা বলা হয়েছে। টমাস পেইন তার সংজ্ঞায় এক্ষেত্রে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও সম্পৃক্ততার ওপর জোর দিয়েছেন। অপরদিকে এস ই ফাইনার বলেন, ‘সংবিধান হচ্ছে রাষ্ট্রক্ষমতার সম্পর্ক বিন্যাসের আত্মবিবৃতি’। সমসাময়িক পৃথিবীতে সংবিধান পর্যালোচনায় রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ অঙ্গসংগঠন ও ক্ষমতাধারীদের পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়টি ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
পৃথিবী যতটা এগিয়ে চলেছে ততটাই বাড়ছে জনগণের সচেতনতা। রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিচালনা, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ এবং বিকেন্দ্রীকরণের মতো জনপ্রিয় বিষয়গুলোর মোকাবেলায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা সংবিধানের চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন। এসব বিশ্লেষণে সংবিধান ও ক্ষমতার ভারসাম্যের বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাধারণ প্রবণতা হচ্ছে ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন। আর জনগণের প্রত্যাশা হচ্ছে ক্ষমতার স্বাতন্ত্রীকরণ। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষণেও একই প্রবণতার প্রমাণ মিলবে।