বাড়িঘর ভাঙার কারণে গোটা বিশ্বে কয়েক কোটি টন জঞ্জাল সৃষ্টি হয়৷ কিন্তু সেই জঞ্জাল থেকে নির্মাণের নতুন উপকরণ তৈরি করা সম্ভব৷ যেমন একটি ফ্ল্যাটের দেওয়াল ও ইনসুলেশনের উপকরণ হিসেবে প্লাস্টিকের বোতল, টেট্রাপ্যাক, জিনস প্যান্ট ও আলুর খোসা ব্যবহার করা হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, পরীক্ষামূলক এই ফ্ল্যাটে আরও অনেক উপাদান পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে৷ সেখানে মানুষ বসবাস করে বলে উপকরণগুলির কার্যকারিতাও বোঝা সম্ভব৷ কয়েক মাসের জন্য সেখানে ছাত্রছাত্রীরা ডেরা বাঁধেন৷
দেমেত্রিস এংলেসোস তাদেরই একজন৷ তিনি বলেন, ‘‘ভবিষ্যতধর্মী এমন পরিবেশে থাকতে ভালোই লাগে৷ কারণ এখানে জঞ্জাল আবার কাঁচামাল হয়ে উঠছে৷ এই ফ্ল্যাটে কোনোকিছুর অভাব নেই, বরং বাড়তি অনেক সুবিধা পাওয়া যায়৷''
এখানে জঞ্জাল নির্মাণের দামী উপাদান হয়ে উঠছে৷ বিশেষজ্ঞ হিসেবে এনরিকো মার্কেসি এই প্রক্রিয়াকে ‘আর্বান মাইনিং' হিসেবে বর্ণনা করেন৷ এই ফ্ল্যাটে প্রায় সবকিছু রিসাইক্লিং-এর ফসল৷ ভবিষ্যতেও সেগুলি আবার রিসাইকেল করা সম্ভব৷ ইনোভেশন ম্যানেজার হিসেবে এনরিকো মার্কেসি মনে করিয়ে দেন, ‘‘মনে রাখতে হবে, পৃথিবীর সম্পদ সীমিত৷ উত্তোলনযোগ্য তামা, বালু ইত্যাদি খুব বেশি নেই৷ এটা ঘটনা৷ আমরা এমন এক পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছি, যেখানে খুব বেশি সম্পদ অবশিষ্ট থাকবে না৷ তাই আমাদের এক সমাধানসূত্রের প্রয়োজন রয়েছে৷ একমাত্র রিসাইক্লিং-ভিত্তিক অর্থনীতির মাধ্যমে সেটা সম্ভব৷ যেমন ঘরের কার্পেট প্রক্রিয়াজাত করে একেবারে নতুন কার্পেট তৈরি করা৷ ফলে কেনার বদলে সেটি ভাড়া নিতে হবে, কারণ নির্মাতা সেটি আবার ফেরত চায়৷ এভাবে বেশিরভাগ উপকরণের ক্ষেত্রেও নবায়নের সুযোগ রয়েছে, যাতে সংস্কার অথবা সেগুলি দিয়ে নতুন কিছু তৈরি করা সম্ভব হয়৷''