মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা ও চেতনাদীপ্ত জেলা হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাম লেখা থাকবে ইতিহাসের পাতায়। এ জেলার সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ৭৩ কিলোমিটার সীমান্তপথ হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধে জেলাটির ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। সম্মুখ যুদ্ধের নানা ঘটনাসহ অর্ধ লাখ মুক্তিকামী মানুষ শহীদ হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। কালের সাক্ষী হয়ে এখনও দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য স্মৃতিসৌধ। অরক্ষিত রয়েছে অসংখ্য বধ্যভূমি।
প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষকেরা জানান, মুক্তিযুদ্ধের ২ ও ৩নং সেক্টরের হেডকোয়ার্টার ছিল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। যুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধারা সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে ভারতে যাতায়াত করতেন। আবার দেশের বিভিন্ন এলাকার ছাত্র, যুবকসহ মুক্তিকামী জনতা মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিতে নৌকাসহ বিভিন্নভাবে সীমান্তে পাড়ি দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওপর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতেন।