যশোরের কেশবপুরের পুরনো বাসিন্দারা ছেলেবেলা থেকেই কালোমুখো হনুমানদের অবাধ বিচরণ দেখে বড় হয়েছেন। গাছ কমার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রাণীরা আবাস হারিয়ে হয়ে পড়েছে অসহায়। আর মহামারীর দুঃসময়ে খাবারের অভাব এদের ফেলেছে চরম সঙ্কটে।
কেশবপুর সম্প্রীতি মন্দির কমিটির সভাপতি ষাটোর্ধ্ব সুন্দর সাহা থাকেন সাহাপাড়ার। এক সময় সেখানে বাড়িতে বাড়িতে প্রচুর ফলজ গাছ ছিল। হনুমানেরা সেসব গাছ থেকে ফল খেত, গৃহস্থদের তাতে আপত্তি থাকত না। গাছের ফল আর মানুষের দেওয়া খাবারেই চাহিদা মিটে যেত বলে হনুমানরা অযথা উৎপাত করত না।
“কিন্তু কিছুই তো আর আগের মত নেই। এলাকায় গাছ গেছে কমে, চারদিকে অনেক ভবন হয়েছে। তার মধ্যে এসেছে মহামারী, অভাবে পড়ে অনেকে বাগানের বা বাড়ির গাছ কেটে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এই হনুমানরা তাহলে যাবে কোথায়?”