করোনাকালে প্রতিবন্ধী নারীর ঋতুকালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার রূপ
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২০, ১২:০১
লিজা (ছদ্মনাম) শারীরিক প্রতিবন্ধী এক নারী, বয়স আনুমানিক ২৭ বছর। শত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে, প্রতিবন্ধিতাকে জয় করে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় অসুস্থ মাকে নিয়ে গ্রামে বাস করেন। গ্রামে মা ও মেয়ের সংগ্রামী জীবন। লিজার ইচ্ছে ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তার আশা বাস্তবায়নে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। লিজার শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে অন্যের সহযোগিতায় চলতে হয়। লিজার গোসল ও বাথরুমে যাওয়া অন্যের সহযোগিতা ছাড়া হয় না। লিজা খাবার ও পানি প্রয়োজনের তুলনায় কম খান, যাতে করে দিনে ৩ বারের চেয়ে বেশি বাথরুমে যেতে না হয়। লিজার মা বৃদ্ধ ও অসুস্থ হওয়ায় লিজাকে সহযোগিতা করতে পারেন না। লিজাকে প্রতিদিন একজন প্রতিবেশীর সহযোগিতায় চলতে হয়। যেদিন প্রতিবেশী না থাকে সেদিন রাতে লিজা না খেয়ে থাকেন যাতে করে বাথরুমে যেতে না হয়। লিজাকে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মাসিক চলাকালীন। এসময় স্যানেটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা লিজার জন্য খুব কম গুরুত্বপূর্ণ হলেও লিজা সুতি কাপড় ব্যবহার করেন। ব্যবহারের পর উক্ত কাপড় পরিষ্কার ও শুকানোর কাজ সঠিকভাবে নিজে করতে পারেন না। লিজার বাবা করোনাকালে থেকে তাদের সাথে যোগোযোগও বন্ধ করে দিয়েছেন। লিজা এমন বন্দী জীবন চায় না সে তার যোগ্যতা অনুসারে কাজ চায়, আত্মমর্যাদা নিয়ে জীবনযাপনের জন্য।