মোবাইল টাওয়ার শেয়ারিংয়ের উদ্বোধন

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২০, ০৯:৫০

সাথে দেশে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও গুণগত মানের মোবাইল সেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে মোবাইল টাওয়ার শেয়ারিংয়ের যাত্রা শুরু হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ রাতে সামিট কমিউনিকেশন্স এবং বাংলালিংকের মধ্যে অনুষ্ঠিত টাওয়ার শেয়ারিং এর উদ্বোধন করার মধ্য দিয়ে এই যাত্রা শুরু হলো। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, আজকের এই যাত্রা কোয়ালিটি অব সার্ভিসের ক্ষেত্রেও একটি নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে। তিনি বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালে ৪টি কোম্পানির স্বাক্ষরিত টাওয়ার শেয়ারিংয়ের চুক্তির মাধ্যমে গৃহীত উদ্যোগের যাত্রা শুরু হলো। এর ফলে বিশাল বিনিয়োগ নির্ভর টেলিকম খাতে মোবাইল অপারেটরদের জন্য নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কাজটি যেমন সহজ হয়েছে তেমনি গুণগত মানের মোবাইল সেবা প্রদানের বিষয়টিও অপারেটরদের জন্য সহজতর হয়েছে। তিনি বলেন, গুণগত সেবা নিশ্চিত করতে স্পেকট্রাম সহসাই নিলাম করা হবে। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আফজাল হোসেন, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান, বাংলালিংক গ্রুপ চেয়ারম্যান সার্গে হেরিরিরো, বাংলা লিংকের সিইও এরিক অস এবং সামিট টেলিকমিউনিকেশন্স লিমিটেড চেয়ারম্যান ফরিদ খান বক্তৃতা করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে পৃথিবীর যে কোন দেশের সাথে বাংলাদেশ এক বিন্দুও পিছিয়ে থাকবে না উল্লেখ করে বলেন, যে জাতি অতীতে তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেছে সে জাতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বের জন্য তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭৩ সালে আইটিইউ ও ইউপিইউ এর সদস্য পদ অর্জন এবং ৭৫ সালে ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ কেন্দ্র স্থাপণের মাধ্যমে দেশকে ডিজিটালাইজ করার যে বীজ বপন করে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর মোবাইল, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট জনগণের জন্য সহজলভ্য করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তা চারা গাছে রূপান্তর করে ছিলেন। ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ধারবাহিকতায় গত এগারো বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি একটি বিরাট মহিরূহে রূপান্তর লাভ করেছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশের এমন কোন গ্রাম থাকবে না যেখানে উচ্চ গতির ইন্টারনেট থাকবে না। তিনি বলেন, আগামী দিনের শিল্প কারখানা হবে ৫জি প্রযুক্তি নির্ভর। আমরা ফাইভজি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। তিনি বলেন, টেলিকম খাত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সরকারকে বিপুল পরিমান রাজস্বের যোগান দিয়ে থাকে। পাশাপাশি ডিজিটাল সংযোগ জাতীয় প্রবৃদ্ধির জন্য বিশাল অবদান রেখে চলেছে। কোভিডকালে বিশ্বের অনেক দেশ যেখানে ঋণাত্বক প্রবৃদ্ধি সেখানে বাংলাদেশ ৫ দশমিক ২৪ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন আমাদের অগ্রযাত্রার বড় দৃষ্টান্ত। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ অবকাঠামো তৈরির সাথে সংশ্লিষ্ট টেলিকম অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ভূমিকার প্রশংসা করেন। বক্তারা বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রা পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশের চেয়েও ভালো বলে উল্লেখ করেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us