অস্ত্রোপচারের দুই মাস পর যমজ সন্তানের দাবি গৃহবধূর
প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২০, ১৭:৩৬
রাজবাড়ীতে অস্ত্রোপচারের দুই মাসেরও বেশি সময় পর এক গৃহবধূ যমজ সন্তান প্রসবের দাবি করে এক সন্তান রেখে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন এক ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে বিষয়টি নিয়ে 'রাজবাড়ী ক্লিনিকে' অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
ওই গৃহবধূর নাম সুস্মতা বেগম সুমী। তিনি রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের কাটাবাড়িয়া গ্রামের অটোচালক মিন্টু শেখের স্ত্রী। তার বাবা আব্দুল আজিজ সরদারের বাড়ি রাজবাড়ী শহরতলীর সোনাকান্দর গ্রাম।
এদিকে অস্ত্রোপচারের এতদিন পর গৃহবধূর এমন দাবিতে বিপাকে পড়েছেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। তাদের অভিযোগ, তৃতীয় কোনো পক্ষের ইশারায় ওই গৃহবধূ এমন দাবি করছেন।
গৃহবধূ সুস্মিতা বেগম সুমী জানান, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর বেশ কয়েকবার তিনি আল্টাসনোগ্রাফি করিয়েছেন। প্রতিবারই রিপোর্টে তার যমজ সন্তানের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে। তিনি আরও জানান, গত ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি রাজবাড়ী ক্লিনিকে ভর্তি হন। ১৯ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার যমজ সন্তানের জন্ম হয়। সেই সময় তার অল্প জ্ঞান ছিল। তখন তিনি দুই সন্তানকেই দেখেছেন। তবে কিছুক্ষণ পর খিচুনি ওঠায় তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরে তাকে ফরিদপুর নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জ্ঞান ফেরার পর তিনি এক সন্তানকে দেখতে পেয়ে আরেক সন্তানের খোঁজ জানতে চান। কিন্তু স্বজনরা তাকে ক্লিনিক থেকে এক সন্তান দেওয়ার কথা জানান।