১৯২৫ সালের শেষ দিকের কথা। যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত দ্য ডেইলি এক্সপ্রেস পত্রিকার কার্যালয়ে একজন গেলেন তাঁর উদ্ভাবনের সংবাদ ছাপানোর আবদার নিয়ে। আবদারটি এতই অগ্রহণযোগ্য মনে হলো যে বার্তা সম্পাদক দেখা করা তো দূরের কথা; বরং একজন কর্মীকে দিয়ে রীতিমতো পাগল বলে বিদায় জানালেন। এর কিছুদিন পর, ১৯২৬ সালের ২৬ জানুয়ারি সেই ভদ্রলোক রয়্যাল ইনস্টিটিউশনের সদস্যদের সামনে উদ্ভাবনটি উপস্থাপন করলেন। এর এক দিন পরই দ্য টাইমস পত্রিকায় ছাপা হলো সংবাদটি। হুলুস্থুল পড়ে গেল চারদিকে। তারপর তো কালক্রমে সেই উদ্ভাবন হয়ে উঠেছে আধুনিক জীবনযাপনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
সেদিন সেই পাগল তকমা পাওয়া মানুষের নাম জন লোগি বেয়ার্ড (১৮৮৮-১৯৪৬)। আর এই স্কটিশ প্রকৌশলীর উদ্ভাবনটি যে প্রথম কার্যকর টেলিভিশন, তা বোধ হয় আয়োজন করে বলে দিতে হবে না! কালের পরিক্রমায় সাদা-কালো থেকে রঙিন, বাঁশের মাথায় অ্যানটেনা থেকে স্যাটেলাইট, আধুনিক থেকে আধুনিকতর হয়েছে টেলিভিশন।