আবদুর রহমান একজন অবসরভোগী সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। নিজের সারা জীবনের কষ্টের টাকায় বাসাবো এলাকায় একটি পাঁচতলা বাড়ি করেছেন। নিজেই ওই ভবনের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। চলতি বছরের শুরুতেই বার্ধক্যজনিত রোগে তিনি মারা গেছেন। রেখে গেছেন স্ত্রী ও তাঁর দুই ছেলে। বড় ছেলে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। আরেক ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করছেন।
বাসাবোর বাড়িতে আটটি ফ্ল্যাট। এর মধ্যে একটিতে আবদুর রহমান সাহেবের বড় ছেলে তাঁর মা ও পরিবার নিয়ে বাস করেন। বাকি সাতটি ফ্ল্যাট থেকে প্রতি মাসে বেশ ভালো অঙ্কের টাকা বাড়িভাড়া পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে আবদুর রহমান সাহেব প্রতিবছর রিটার্ন দিয়ে নিয়মিত কর দিয়ে আসছিলেন। তিনি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন নিয়মিত করদাতা। এখন প্রশ্ন হলো তাঁর মৃত্যুর পর এখন কী হবে? উত্তরটা একটু নিষ্ঠুর। আবদুর রহমান সাহেবের পক্ষে তাঁর সম্পদ থেকে আয়ের ওপর এখন উত্তরাধিকারীদের কর দিতে হবে।