সাজেদুর আবেদীন শান্ত বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের মেয়ে কান্তা চক্রবর্ত্তী। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। ২০১৪ সালে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বাবা। অনার্স পর্যন্ত পড়াশোনার খরচ টিউশনি করেই চালাতেন। পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভাগের শিক্ষকরা তাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। এভাবেই তিনি সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজ থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেছেন। মাস্টার্স শেষ করার পর মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের জেলা অফিসে কম্পিউটার ইন্সট্রাক্টর পদে চাকরি শুরু করেন।
চাকরি ও সংসার সামলে উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করেন। ২০১৫ সালে পড়াশোনার পাশাপাশি কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। তবে সেখানে সাফল্যের দেখা পাননি। এরপর ২০১৬ সালে শুরু করেন হাতের তৈরি বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের ব্যবসা। সেখানেও তেমন সুবিধা করতে পারেননি কান্তা। ব্যবসা করার কৌশল ও নিয়ম-কানুন জানাসহ কারো সহযোগিতা না থাকায় সফল হতে পারেননি।