দেশের চালের বাজার বিপণন সহজ করতে সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) পদ্ধতিতে ৬টি কম্পোজিট রাইস মিল স্থাপন করা হবে। এছাড়া সৌদি থেকে ৭৫ হাজার ইউরিয়া ও সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার ইউরিয়া সার এবং রাশিয়া থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার মিউরেট অব পটাশ সার আমদানি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২১তম সভায় এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক দুটিকে রাইস মিল স্থাপন ও সার আমদানিসহ মোট নয়টি প্রস্তাব অনেোমদন হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
জানা গেছে, বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৫টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১টি, বিদ্যুৎ বিভাগের ১টি এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল । অনুমোদিত ৮টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১৬ হাজার ২৭১ কোটি ৪৮ লাখ ৮০ হাজার ২৯২ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ১৫ হাজার ৬২৮ কোটি ২১ লাখ ২৬ হাজার ৪৯৩ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ ৬৪৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৯ টাকা।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় একটি প্রস্তাব অনুমোদন হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক দেশের ৬টি জেলায় (ফরিদপুর, বরিশাল, ঝালকাঠী, ভোলা, নওগাঁ, সিলেট) ৬টি রাইস মিল স্থাপন করা হবে। কনস্ট্রাকশন অব কম্পোজিট রাইস মিলস এলং উইথ ড্রাইং অ্যান্ড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিস অ্যাট ডিফারেন্ট স্ট্র্যাটেজিক লোকেশন অ্যাক্রোস কান্ট্রিজ প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো হলো: শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে ৫ম লটে ২৫ হাজার টন বাল্ক প্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানিতে ৫৬ কোটি ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ৬ষ্ঠ লটে ২৫ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানিতে ৫৬ কোটি ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং ৭ম লটে ২৫ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ৫৬ কোটি ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকায় ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।