চৌধুরী সাহেব অতুলনীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। ইংরেজি, উর্দু ও পাঞ্জাবি সাহিত্যে তার দক্ষতা তার সাথে বৈঠক ও মাহফিলকে এতটাই মনোমুগ্ধকর বানিয়ে দিত যে, মাহফিল থেকে উঠে আসা কঠিন হয়ে যেত। হাজার হাজার কবিতা তার মুখস্থ। কিছু কথা তিনি মাহফিলে বলতেন না, নির্জনে বলতেন।
একবার চৌধুরী সাহেব আমাকে বললেন, ‘জেনারেল জিয়াউল হকের শাসনামলে তিনি ফিলিস্তিন স্বাধীনতা সংগঠনে যোগ দেন। শুধু ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা নয়, বরং পাকিস্তানের স্বাধীনতাও উদ্দেশ্য ছিল। কিছু দিন পর তিনি অনুভব করলেন, জেনারেল জিয়ার মার্শাল ল’র মোকাবেলা সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে নয়, বরং রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে করা উচিত। তিনি পাকিস্তান ফিরে এলেন। তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেন এবং জাতীয় অ্যাসেম্বলির সদস্য হলেন।’