তাদের লাশের অপেক্ষায় পরিবার

মানবজমিন প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

ভোলার লালমোহনের দুই জেলে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার ডুবে নিখোঁজের ৫ দিন পরও লাশ উদ্ধার হয়নি। ট্রলারের কেবিনে আটকে সাগরের অথৈ জলে সলিল সমাধি হয় দুই জেলের। হদিস মেলেনি ট্রলারটিরও। এ ঘটনায় দুই পরিবারে শোকের মাতম চলছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের হারিয়ে পরিবারগুলো এখন দিশাহারা।গত মঙ্গলবার ভোর ৬টায় মাছ ধরে ফেরার পথে মেঘনার দক্ষিণে সাগরের বুকে ১২ জেলে নিয়ে ট্রলারটি প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে ডুবে যায়। ট্রলারের মালিক লালমোহনের ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের নূরুল্লাহ এলাকার সামছু মাঝি। তিনি জানান, ১২ই সেপ্টেম্বর ১২ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে মেঘনার বাতির খাল ঘাট থেকে রওনা করেন তারা। ৩ দিন পর মাছ ধরে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তারা ডুবে যাওয়া ট্রলারের রশি ধরে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা সাগরে ভেসে থাকার পর পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ট্রলার এসে তাদের উদ্ধার করে। কিন্তু ট্রলারের কেবিনে ঘুমিয়ে থাকা সামছু মাঝির ভাই বেল্লাল ও ৩ নং ওয়ার্ডের বাউরিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে সুমন আর বের হতে পারেনি। ডুবে যাওয়া ট্রলারের সঙ্গে তারাও সাগরের বুকে হারিয়ে যায়। নিখোঁজ সুমনের স্ত্রী শারমিন আর দুই মাস পরেই সন্তান জন্ম দেবেন। অনাগত সন্তানকে দেখে যেতে পারলো না সুমন। দুই বছর আগে বিয়ের পর এটাই তাদের প্রথম সন্তান। সুমনের বাবা আব্দুল মান্নানও জেলে পেশার সঙ্গে যুক্ত। পরিবারের বড় ছেলে ছিল সুমন। তাকে হারিয়ে পরিবারটি এখন নিঃস্ব। অনাগত সন্তান ও সুমনের স্ত্রীর ভাগ্যে কি ঘটে তাও জানেন না কেউ। অন্যদিকে বেল্লালের ছোট দুই শিশু সন্তান নিয়ে স্ত্রী মোমেনা পড়েছেন চরম বিপাকে। বেল্লাল আলাদা সংসারে থাকতো। তাকে হারিয়ে স্ত্রী মোমেনা ৬ বছরের আদর ও এক বছরের মুনহাকে নিয়ে কোথায় যাবেন তা নিয়ে রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। মোমেনার বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। স্বামীকেও হারিয়ে এখন পাগলপ্রায় তিনি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুদিপ্ত মিশ্র বলেন, ট্রলার ডুবির ঘটনা শুনেছি। তবে ট্রলার অথবা নৌকা ডুবে যদি কেউ মারা যায় সেক্ষেত্রে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট অথবা নিখোঁজ ডায়েরিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য সহযোগিতার ব্যবস্থা করবো।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us