ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাচারকারী ও জঙ্গিদের অনুপ্রবেশে বাধা দিতে গিয়ে গত কয়েক মাসে ৫২ জন বিএসএফ জওয়ান আহত হয়েছেন বলে জানালেন বিএসএফের ডিজি রাকেশ আস্থানা। ঢাকায় বিএসএফ-বিজিবি বৈঠকের পরে আজ আগরতলা-আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে ফেরেন বিএসএফের ডিজি রাকেশ আস্থানা-সহ একটি প্রতিনিধি দল। ১৬ সেপ্টেম্বর বিএসএফের প্রতিনিধি দলটি আখাউড়া সীমান্ত দিয়েই বাংলাদেশে গিয়েছিল। বিএসএফের ডিজি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ মিত্র দেশ। দুই দেশের সীমান্তে হত্যা ও মারধরের ঘটনা একেবারে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে এক মত হয়েছে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এ জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় দু’দেশের বাহিনীর যৌথ নজরদারি বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে।’’ তাঁর মতে, আন্তর্জাতিক সীমানা আইনের বিধি-বিধান সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, আগ্নেয়াস্ত্র, চোরাকারবারিদের ডিজিটাল ছবি বিনিময় নিয়ে দু’দেশের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে।আস্থানা জানিয়েছেন, বিজিবি-র পক্ষে ভারতের দেওয়া নতুন ডিজ়াইনের কাঁটাতারের বেড়া না লাগানোর অনুরোধ করা হয়েছে।’’ সীমান্ত বৈঠকে বিজিবি ডিজি মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে। করোনার প্রকোপের জন্য দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর টহলদারি বন্ধ ছিল। তা ফের শুরু করতে রাজি হয়েছে দু’দেশ। বাংলাদেশে সন্দেহভাজন ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিজিবি ও বাংলাদেশের অন্য বাহিনীর গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন আস্থানা। বাংলাদেশে ভারতীয় জঙ্গি গোষ্ঠীর সম্ভাব্য ঘাঁটি ধ্বংস করতে বিজিবি আগের মতোই সহযোগিতা করছে বলে জানান তিনি। আস্থানা জানিয়েছেন, আগামী নভেম্বর মাসে বিএসএফ-বিজিবি ডিজি পর্যায়ের ৫১তম সীমান্ত সম্মেলন গুয়াহাটিতে হবে।