ক্ষুধা, তৃষ্ণা সহ অন্যান্য জৈবিক শারীরবৃত্তীয় চাহিদাগুলোর মতই যৌন চাহিদাও আমাদের জীবনে স্বাভাবিক একটা চাহিদা। প্রতিটি প্রাণীর মধ্যেও যৌন চাহিদা বিদ্যমান। মানব জাতির অস্তিত্ব তথা বংশ পরম্পরায় বংশের ধারা টিকিয়ে রাখার জন্য বা পৃথিবীতে নিজের চিহ্ন রেখে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আমাদের যৌন চাহিদা। তবে আমাদের ধর্মীয় গোঁড়ামী, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিসহ নানা কৃষ্টি কালচারের কারণে যৌনতাকে খুবই নেতিবাচকভাবে আমাদের সামনে তুলে ধরা হয়। যার জন্য আমরা খোলামেলা ভাবে যৌনতা এবং যৌন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারি না। যৌনতাকে খুব খারাপ এবং গোপনীয় একটা ব্যাপার বলে আমাদের মগজে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। আর এ গোপনীয়তার সুযোগ নিয়ে যৌনতা নিয়ে এক শ্রেণির মানুষ অপচিকিৎসার স্বীকার হচ্ছে। অদ্যাবধি আমাদের দেশে যৌনতার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান অর্জনের সুযোগ নেই। কোনোদিন হবে কিনা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। যৌনতা নিয়ে বন্ধু বান্ধব, কবিরাজ, ফুটপাতের ক্যানভাসার, পর্নোগ্রাফী ছবি, বই, বাসের জানালা দিয়ে ছুড়ে মারা লিফলেট ইত্যাদির মাধ্যমেই আমরা যৌনতা সম্পর্কে অপশিক্ষা লাভ করি।
যৌনতা নিয়ে এরকম নেতিবাচক ধারণার কারণেই আমাদের দেশে ধর্ষণের সংখ্যা বাড়ছে। কারণ মনোবিজ্ঞানীদের মতে যেটা আমরা নেতিবাচকভাবে মনে অবদমিত করে রাখবো সেটা বিভিন্ন নেতিবাচক ভাবে প্রকাশিত হবে।