You have reached your daily news limit

Please log in to continue


খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা নিয়ে বিরোধ প্রকাশ্যে

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পাল্টাপাল্টি কমিটি দেয়ায় কেন্দ্র তা গ্রহণ করেনি। অপরদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরিত ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দেয়া হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়ে প্রকাশ্যে বিরোধে লিপ্ত হয়েছেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী। জেলা আওয়ামী লীগের পৃথক দু’টি পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন এই দুই নেতা। কেন্দ্রীয় নেতা বি এম মোজাম্মেলের মধ্যস্থতায় বৈঠক হলেও কমিটির বিষয়ে একমত হতে পারেনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ফলে জেলা ইউনিটের ৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গ্রহণ করেনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক এবং সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা যৌথভাবে ৭৫ সদস্যের এই কমিটি তৈরি করেছেন। দুই নেতা একমত থাকায় কমিটি গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরই তা অনুমোদনের জন্য দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উত্থাপন করা হবে। মহানগর কমিটির ক্ষেত্রে কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কারা থাকছেন এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি মহানগর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১০ই ডিসেম্বর নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠে খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে দুই ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে দ্রুত তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে সাংগঠনিক তৎপরতা বন্ধ হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।চলতি মাসের শুরুতে দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় ১৫ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা ও মহানগর কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আর তাই কেন্দ্রের নির্দেশনার পরেই কমিটি গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়।সূত্র জানায়, জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের শুরু থেকেই দুই নেতার মতবিরোধ দেখা দেয়। কয়েক দফা বৈঠকে বসেও কমিটির বিষয়ে একমত হতে পারেননি। যার কারণে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পৃথক কমিটি তৈরি করে কেন্দ্রে গেছেন।খুলনা জেলা সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, সাধারণ সম্পাদক যাদের কমিটিতে আনতে চান-তাদের দলে নেয়া সম্ভব না। বিষয়টি তাকে বুঝিয়ে বলা হলেও তিনি তা মানছেন না। আমি সভাপতি হিসেবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেব। সাধারণ সম্পাদক যদি পৃথক আরেকটি কমিটি দেয়-তাহলে ঠিক হবে না।খুলনা জেলার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী বলেন, বিগত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে যারা অবস্থান নিয়েছে, বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সদস্য-এমন ব্যক্তিদের কমিটিতে রাখা যাবে না। বিষয়টি নিয়ে সভাপতির সঙ্গে আমি একমত হতে পারিনি। তাই বিকল্প পদক্ষেপ নিয়েছি। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতার মধ্যস্থতায় বৈঠক হয়েছে। কিন্তু আমরা একমত হতে পারিনি। পরে আবার বৈঠক হবে।খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালকুদার আবদুল খালেক বলেন, আমি ও সাধারণ সম্পাদক দুইজনে মিলেই ৭৫ সদস্যের কমিটি করেছি। অনুমোদনের পর সবার নাম প্রকাশ করা হবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন