রাজশাহীর চারঘাটে সরকারি ঘর দেয়ার নামে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে রঞ্জনা বেগম নামে এক নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য (মহিলা মেম্বার)। টাকা দিয়েও ঘর পাননি ভুক্তভোগীরা। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হলে ওই নারী ইউপি সদস্য এবং তার লোকজন নানা হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। অবশ্য, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোপালপুর ধোপাপাড়া গ্রামের প্রায় ১৫ জন অসহায়ের কাছ থেকে ঘর দেয়ার কথা বলে প্রত্যেক পরিবারের ৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয় নারী ইউপি সদস্য রঞ্জনা বেগম। কিন্তু ঘরের চিহ্নও দেখেননি তারা। উল্টো টাকা ফেরত চাইতে গেলে লাঞ্ছনা ও মারধরের শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।হতদরিদ্র নারী সেলিনা বেগম জানান, প্রধানমন্ত্রী ঘর দিচ্ছে বলে এখানকার রঞ্জনা মেম্বার আমার স্বামীর কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিছে। ধার করে সে টাকা দিয়েছি। বছর হতে গেলেও এর মধ্যে টাকাও দেয় না, ঘরও দেয় না। টাকা চাইতে গিয়ে মার খেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। গ্রামের আরো প্রায় ১৫ জনের কাছ থেকে বিভিন্ন রকমের অজুহাতে টাকা নিয়েছে সে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত নারী ইউপি সদস্য রঞ্জনা বেগম জানান, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা একটা ষড়যন্ত্র তৈরি করেছে। এটা একেবারে ভিত্তিহীন। পূর্বশত্রুতার জের ধরে এমন অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা জানান, এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যদি ওই নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাই তবে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।