নারায়ণগঞ্জে ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে এক তরুণী (১৮)কে ডেকে আইনজীবীর কামরায় নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এ সময় ধর্ষণে আইনজীবীর সহকারী (মুহুরী) সহযোগিতা করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা তরুণী বৃহস্পতিবার রাতে বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ রাতেই প্রেমিক দিদার (২২) ও আইনজীবীর সহকারী মুন্না (২৩)কে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত দিদার চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার চরভৈরবী গ্রামের কালু সৈয়ালের ছেলে ও ফতুল্লা থানার কায়েমপুরের মৃত শরীফ সরদারের ছেলে মুন্না। ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ আগস্ট দুপুর একটায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পিছনে এসএম করিমের দ্বিতীয় তলায় আইনজীবী কেফায়েত উল্লাহর কামরায়। ধর্ষিত তরুণীর বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শফিক জানান, ফতুল্লার তল্লা বড় মসজিদ এলাকায় বসবাসকারী তরুণীর সঙ্গে দিদারের ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্ব হয়। এরসুত্র ধরে তারা ম্যাসেঞ্জারে চ্যাটিংসহ মোবাইল ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ করতো। এক সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। গত ১৫ই আগস্ট দিদার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই তরুণীকে আইনজীবী কেফায়েত উল্লাহর কামরায় ডেকে এনে আইনজীবীর সহকারী (মুহুরী) মুন্নার সহোযোগিতায় ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা তরুণী বাদী হয়ে ধর্ষণের ঘটনায় সহোযোগিতা করার অভিযোগ এনে আইনজীবীর সহকারী (মুহুরী) মুন্না ও ধর্ষণের অভিযোগে দিদারকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা করে। পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে দিদার ও আইনজীবীর সহকারী মুন্নাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।এ বিষয়ে আইনজীবী কেফায়েত উল্লাহ্র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত মুন্না তার সহোযোগী হিসেবে কাজ করতো সত্যি। তবে এ ঘটনার সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।