কোম্পানীগঞ্জে ৪০ হাজার একর খাস জমি ভূমিদস্যুদের দখলে
প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২০, ০০:০০
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের নতুন জাগ্রতচর ও পুরাতন চরের ৪০ হাজার একর খাস ভূমি দখল করে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা। চরগুলো হলো- দক্ষিণচর চরএলাহী, উড়িরচর, চরবালুয়া, চরউমেদ, চররমজান, চরগাজী মিজান, চরগাংচিল, চরমওদুদ, চরদক্ষিণ এলাহী, চরকচ্ছপিয়া, চরকলমি, চরলেংটা, গুচ্ছগ্রাম ও ১৫ হাজার একর জাগ্রতচরসহ চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট চরগুলোসহ দখল করে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা। এ সব ভূমিদস্যু স-নামে বে-নামে পুরাতন চরগুলোর ভুয়া নথিপত্র বানিয়ে কৌশলে বিভিন্ন জেলার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তর করে এফিডেভিট ও পাওয়ারের মাধ্যমে সরকারি খাস জমি হস্তান্তর করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে পুরাতন চরের প্রায় ২৫ হাজার একর খাস জমি আইল কাটি দিয়ে ঘেরাও করে নিজেরা চাষাবাদ করছে। এদের মধ্যে যবর দখলকারী ব্যক্তিরা হলো- দক্ষিণ চরএলাহীর সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আলী, বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের ভাই খোকা মিয়া, আবু বকর ছিদ্দিক, আবদুল মালেক, আবদুল গণি, বুলেট বাহার, আবদুল খালেক, বসু মিয়া, সাহাব উদ্দিন মেম্বার, ছিদ্দিক উল্যাহ, সিরাজ মিয়া, একরাম, মহিলা মেম্বার দৌলত আরা, গণি (২), তাজুল ইসলাম, মো. সোহেলসহ ৫০-৬০ জনের সেন্ডিকেট গ্রুপ। এরা নিজেরা যবর দখল করে রাখে এবং অন্যত্র প্রভাবশালী মহলের কাছে ভুয়া নথিপত্র দেখিয়ে হস্তান্তর করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেছে।এ ব্যাপারে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র, জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ছোটভাই আবদুল কাদের মির্জা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে কাউকে জবর দখলকারী ও ভূমিদস্যুদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমাকে আমার অফিসে ডেকে এগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলেছি। অপরদিকে সহকারী কশিনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমা বলেন, ১৭৫টি নথি বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করেছি। তিনি আরও বলেন, আমি মাত্র একবার দক্ষিণ চরাঞ্চলে গিয়েছি সিডিএসপি সার্ভে টিম কাজ করার সময়। এছাড়া উক্ত এলাকার ভূমি সম্বন্ধে আমার কোনো তথ্য জানা নাই।