হরিণাকুণ্ডুতে কাবিটা, টিআর ও এলজিএসপির টাকা হরিলুটের অভিযোগ

মানবজমিন প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় কাবিটা, টিআর, রেজিস্ট্রি অফিস এবং হাটবাজার ইজারার ওয়ান পার্সেন্ট ও এলজিএসপির টাকায় কাজ না করেই হরিলুট করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রশাসন ও পিআইও অফিসকে ম্যানেজ করে সরকারি অর্থ লুটপাটের এই মহোৎসব চললেও জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কোনো নজরদারি চোখে পড়েনি। ইতিমধ্যে এরকম অবৈধ আবদার পূরণ না করায় মারপিট করা হয়েছে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার এক ইঞ্জিনিয়ারকে। এ ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ফজলুর রহমান নামে এক চেয়ারম্যানকে। এদিকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দকৃত অর্থের কোনো কাজ করেননি চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান রাসেল। তার বিরুদ্ধে হরিণাকুণ্ডু ইউএনও দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য বসির উদ্দিন, ৮নং ওয়ার্ড সদস্য সাইদুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য গোলাম সরোয়ার, ৪নং ওয়ার্ড সদস্য আতিয়ার রহমান ও সংরক্ষিত ৭,৮,৯-এর সদস্য মোমেনা খাতুন। অভিযোগ দেয়ার পর ইউএনও সৈয়দা নাফিস সুলতানা অভিযোগের জবাব দিতে চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছেন। অন্যদিকে, অবস্থা বেগতিক দেখে চেয়ারম্যান রাসেল চরপাড়া বাজারে ইট বালু ফেলেছেন কাজ করার জন্য। প্রশ্ন উঠেছে যদি প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেই পিআইও এবং ইউএনও সরকারি অর্থ ছাড় করে থাকেন, তবে এখন এতো চিঠি চালাচালি আর মেম্বারদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার বিষয় আসছে কেন? লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান রাসেল পরিষদের কোনো সভা ছাড়াই ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থ বছরের এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের কাজের জন্য নিজের ইচ্ছামতো প্রকল্প দাখিল করে তার সমুদয় অর্থ উত্তোলন করেছেন। এ ছাড়াও হাটবাজারের অর্থের ৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকার কাজ না করে তা উত্তোলন করে তিনি নিজের ইচ্ছামতো ব্যয় করেছেন। অভিযোগে ওই সদস্যরা আরো জানান, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে পরিষদের ট্যাক্স বাবদ আদায়কৃত ৪ লাখ ৪৬ হাজার টাকা আদায় করলেও সদস্যদের সম্মানী ভাতা না দিয়ে ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে ব্যয় দেখিয়েছেন। এ ছাড়া পরিষদের ১% এর ২ লাখ ১২ হাজার টাকা, বিগত চার বছরের ট্রেড লাইসেন্স বাবদ আদায়ের প্রায় ৩ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ পরিষদের সভার অনুমোদন ছাড়াই তিনি উত্তোলন করেছেন। এসব অভিযোগ ছাড়াও টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের আওতায় বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষের নামে টিউবওয়েল আত্মসাৎ করা হয়েছে। ইউপি সদস্য আড়ুয়াকান্ডি গ্রামের বসির উদ্দিন বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের টিআর প্রকল্পের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির টিউবওয়েল প্রকল্পের আওতায় ওই ইউনিয়নের চর আড়ুয়াকান্দি গ্রামের আসাদুল, একই গ্রামের আত্তাব আলী, পোড়াহাটি গ্রামের আয়ুব আলী, কাচারিতোলা গ্রামের সাহেব আলী, একই গ্রামের শাহিন, নিত্যনন্দপুর গ্রামের আজাদসহ আরো অনেকের নামে টিউবওয়েল বরাদ্দ দেখিয়ে দেননি। লিখিত অভিযোগের বিষয়েইউপি চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান রাসেল বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক। তিনি বলেন, কয়েকজনের নামে বরাদ্দকৃত টিউবওয়েল পরিষদে রাখা আছে। সেগুলো দ্রুত তাদের বাড়িতে স্থাপন করা হবে। হাট-বাজারসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজ নিয়ম অনুযায়ী করা হয়েছে। সেখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডুর ইউএনও সৈয়দা নাফিস সুলতানা বলেন, আমরা রঘুনাথপুরের চেয়ারম্যানকে একটা চিঠি দিয়েছি। তাছাড়া যত দ্রুত সম্ভব সরজমিন গিয়ে আমি প্রকল্পগুলোর কাজ হয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখবো এবং তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পিআইও জামাল হোসাইন বলেন, আমরা তো প্রকল্প দেখেই বিল দিয়েছি। তারপরও আমি এ বিষয় নিয়ে পরে আপনার সঙ্গে কথা বলবো।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us