‘আমরা করোনা মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত’ কিংবা ‘আমরা করোনার চেয়ে শক্তিশালী’-এর মতো বড় বড় রাজনৈতিক বুলি দিয়ে শুরু হয়েছিল আমাদের করোনা যাত্রা কিন্তু তীব্র সংকট ছিল টেস্টিং কিট, পিপিই সহ সুরক্ষা সরঞ্জাম, চিকিৎসা সামগ্রী এমনকি হাসপাতালের বেড, অক্সিজেন, আইসিইউ’র। তারপর ‘গোদের ওপর বিষফোড়া’র মতো দেখা গেল আমলানির্ভর করোনা মোকাবিলার যুদ্ধটা শেষমেশ হয়ে দাঁড়ালো অনিয়ম-দুর্নীতি, অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতার বিরুদ্ধে। আরো ছোট করে বলতে গেলে বিশ্বের ২১৬টি দেশ যখন লড়াই করে যাচ্ছে রোগের বিরুদ্ধে তখন আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ালো নকল মাস্ক, ভুয়া পিপিই, নকল করোনা সার্টিফিকেট, লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল আর ভুঁইফোঁড় সংগঠনগুলো। ঘটনা এতদূর গড়ালো যে বাংলাদেশে নকল করোনা সার্টিফিকেট জায়গা করে নিলো সিএনএন, নিউ ইয়র্ক টাইমস, গার্ডিয়ান কিংবা আল- জাজিরার মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।
রিজেন্ট নামক এক হাসপাতাল ঘিরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মধ্যে করোনাকালীন সময়ে চলে আসা টানাপড়েন এমনভাবে উন্মোচিত হলো যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তার পদ থেকে সরে যেতে হলো। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য যে নতুন মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্ব নিলেন তিনি শুরুতেই নিজের এবং সরকারের জন্য আগাম দায়মুক্তি নিয়ে দুর্নীতির দায় চাপালেন আমাদের সবার ওপর। খোলাখুলি বললেন আমরা সবাই এই দুর্নীতির অংশ। এখন প্রশ্ন হলো এই ‘আমরা’টা কারা।